ترقية الحساب

একজন ফ্রিল্যান্সারকে দেখতাম হাজার হাজার ডলারের স্ক্রিনশট "মাই ডে" তে শেয়ার করে আলহামদুলিল্লাহ লিখতে। একদিন নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু কে শোনে কার কথা। সে গত ছয় সাত মাস ধরে কাজই নাকি পাচ্ছে না। প্রফেশন পরিবর্তন নিয়ে কয়দিন পর পর হাউকাউ করে পোস্ট করে।

আরেক ভাই মাই ডে, বাজারের ছবি শেয়ার করতো, বছর দুয়েক হয়েছে হয়ত। বড় বড় সাইজের মাছ হাতে নিয়ে, "রিজিকের মালিক আল্লাহ", এটা সেটা লিখে শুকরিয়া প্রকাশ করতো । একসাথে কাজ করার সুবাদে আমরা একে অপরের ইন্টারনাল কিছু ব্যাপার জানতাম। একদিন অন্য আইডি থেকে ফ্রিল্যান্সার গ্রুপে স্ক্রল করার সময় উনার পোস্ট চোখে পড়ে। একটু নেগেটিভ আর কি! বুঝলাম উনি ভালো নাই। আবার আইডিতে ঢুকে ডে গুলি চেক করলাম। কেবল হা-হুতাশ করা পোস্ট।

আমার স্কুলের এক সিনিয়র আপু । আমার জন্মের আগে উনি পাস করে বের হয়েছেন। উনি অনেক শো-অফ পছন্দ করতেন আমার ধারণা। প্রতিদিন কখন কি রান্না করছেন ফেসবুকে পোস্ট করতেন। যেহেতু বেশ কিছু প্রোগ্রামে জয়েন করেছিলাম স্কুলের তখন খাতির বেশ ভালো হয়। একদিন বলেছিলাম "আপু এসব করবেন না" - উনার জবাব ছিল, "তুমি এসব বিশ্বাস করো"? হাহাহা। বেশি না, সাত আট মাস পরে উনি বিশাল পোস্ট করে উনার স্বামীর দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করেছেন। তার স্বামী বিদেশে খেটে মরছে, উনি দেশে বসে মোজ-মাস্তি করে বেড়াচ্ছেন। শুধু খাচ্ছে আর পোস্ট করছে, এসব নিয়ে স্বামী বিরক্ত। তারপর আরো কিছুদিন পর উনাকে বেশ ভালো সময় ইনএকটিভ পাই। স্কুলে গিয়ে বড়ভাইদের সাথে গল্পের ফাঁকে জানতে পারি উনার ডিভোর্স হয়ে গেছে। উনার বাবার বাড়িতেও জায়গা হয়নি স্বভাবের কারণে, এখন দিন আনতে পান্তা ফুরায় দশা!

কোক তো সবাই চিনি। কোকের ফরমুলা গোপন রয়েছে একশ বছরের বেশি সময়। দুজন মালিক ফরমুলা জানে। তারা কখনো একসাথে ভ্রমণ করেন না। কারণ, দুর্ঘটনা বা কোনক্রমে যেন ফরমুলা লিক না হয়।

অনেক বিখ্যাত খাবার রয়েছে যা ছোটবেলা খেয়েছেন, এখনো একই স্বাদ। কারণ ফরমুলা গোপন থাকায় কেউ বানাতে পারে নি।

আল্লাহর রাসূল সা: এর একজন সাহাবীকে ইদুর গর্ত থেকে প্রতিদিন একটা করে মোহর দিতো। উনি গোল্ডেন গুজের মত প্রতিদিন একটা মোহরের লোভ সংবরণ করতে না পেরে গর্তে হাত ঢুকিয়ে সব মোহর একবারে পেতে চেয়েছিল, হাত দিয়ে কিছুই পান নি । আল্লাহ সেই সাহাবীর বিশেষ আমল ও দারিদ্রতার প্রভাবে প্রতিদিন একটা মোহর দান করতো। উনি রাসূলের দরবারে গিয়ে পুরো ঘটনা ব্যাখ্যা করলে রাসূল সা: জানান, "তুমি যদি গর্তে হাত না ঢুকিয়ে দিতে, তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ প্রতিদিন একটা করে মোহর তোমাকে দান করতো" ।

উল্লেখিত প্রতিটা ঘটনা সাক্ষ্য দেয়, আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছে তা গোপন রাখো, গোপনে শুকরিয়া জানাও। যখনই লোকে জানাজানি হবে সেই নিয়ামত বাতিল হবে। এবং বদনজর অবশ্যই সত্য। রাতারাতি ধনী হওয়া বহু ফ্রিল্যান্সারকে আমি রাতারাতি আইডি হারিয়ে শূন্যে নেমে যেতে দেখেছি। তারা পরিশ্রমকে বিশ্বাস করতো, বদনজরের কথা শুনলে হেসে উড়িয়ে দিতো । তারা ফেসবুকে এসে "আলহামদুলিল্লাহ" পোস্ট করতো।

"কি ব্যাপার, উনি আলহামদুলিল্লাহ বললো কেন? কি হইসে? কি পাইসে" - এসব প্রতিটা ভাবনা বদনজর। এবং আপনি নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনছেন।

গত এক বছরে এত বেশি বাঁশ হজম করতে হয়েছে যে কারণে এই বদনজর প্ল্যাটফর্মে হাসি-তামাশা ছাড়া আর কোনকিছু বলি না। আপনার কোন অর্জন আমাদের জানিয়ের,বাড়তি কিছু অর্জন করতে পারবেন না, আপনি ধনী বা গরীব যাই হোন, তাতেও কারো কিছু যায় আসে না। তাহলে এত শো-অফ কেন?

➡️ লিখাটা কালেক্টেড
একজন ফ্রিল্যান্সারকে দেখতাম হাজার হাজার ডলারের স্ক্রিনশট "মাই ডে" তে শেয়ার করে আলহামদুলিল্লাহ লিখতে। একদিন নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু কে শোনে কার কথা। সে গত ছয় সাত মাস ধরে কাজই নাকি পাচ্ছে না। প্রফেশন পরিবর্তন নিয়ে কয়দিন পর পর হাউকাউ করে পোস্ট করে। আরেক ভাই মাই ডে, বাজারের ছবি শেয়ার করতো, বছর দুয়েক হয়েছে হয়ত। বড় বড় সাইজের মাছ হাতে নিয়ে, "রিজিকের মালিক আল্লাহ", এটা সেটা লিখে শুকরিয়া প্রকাশ করতো । একসাথে কাজ করার সুবাদে আমরা একে অপরের ইন্টারনাল কিছু ব্যাপার জানতাম। একদিন অন্য আইডি থেকে ফ্রিল্যান্সার গ্রুপে স্ক্রল করার সময় উনার পোস্ট চোখে পড়ে। একটু নেগেটিভ আর কি! বুঝলাম উনি ভালো নাই। আবার আইডিতে ঢুকে ডে গুলি চেক করলাম। কেবল হা-হুতাশ করা পোস্ট। আমার স্কুলের এক সিনিয়র আপু । আমার জন্মের আগে উনি পাস করে বের হয়েছেন। উনি অনেক শো-অফ পছন্দ করতেন আমার ধারণা। প্রতিদিন কখন কি রান্না করছেন ফেসবুকে পোস্ট করতেন। যেহেতু বেশ কিছু প্রোগ্রামে জয়েন করেছিলাম স্কুলের তখন খাতির বেশ ভালো হয়। একদিন বলেছিলাম "আপু এসব করবেন না" - উনার জবাব ছিল, "তুমি এসব বিশ্বাস করো"? হাহাহা। বেশি না, সাত আট মাস পরে উনি বিশাল পোস্ট করে উনার স্বামীর দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করেছেন। তার স্বামী বিদেশে খেটে মরছে, উনি দেশে বসে মোজ-মাস্তি করে বেড়াচ্ছেন। শুধু খাচ্ছে আর পোস্ট করছে, এসব নিয়ে স্বামী বিরক্ত। তারপর আরো কিছুদিন পর উনাকে বেশ ভালো সময় ইনএকটিভ পাই। স্কুলে গিয়ে বড়ভাইদের সাথে গল্পের ফাঁকে জানতে পারি উনার ডিভোর্স হয়ে গেছে। উনার বাবার বাড়িতেও জায়গা হয়নি স্বভাবের কারণে, এখন দিন আনতে পান্তা ফুরায় দশা! কোক তো সবাই চিনি। কোকের ফরমুলা গোপন রয়েছে একশ বছরের বেশি সময়। দুজন মালিক ফরমুলা জানে। তারা কখনো একসাথে ভ্রমণ করেন না। কারণ, দুর্ঘটনা বা কোনক্রমে যেন ফরমুলা লিক না হয়। অনেক বিখ্যাত খাবার রয়েছে যা ছোটবেলা খেয়েছেন, এখনো একই স্বাদ। কারণ ফরমুলা গোপন থাকায় কেউ বানাতে পারে নি। আল্লাহর রাসূল সা: এর একজন সাহাবীকে ইদুর গর্ত থেকে প্রতিদিন একটা করে মোহর দিতো। উনি গোল্ডেন গুজের মত প্রতিদিন একটা মোহরের লোভ সংবরণ করতে না পেরে গর্তে হাত ঢুকিয়ে সব মোহর একবারে পেতে চেয়েছিল, হাত দিয়ে কিছুই পান নি । আল্লাহ সেই সাহাবীর বিশেষ আমল ও দারিদ্রতার প্রভাবে প্রতিদিন একটা মোহর দান করতো। উনি রাসূলের দরবারে গিয়ে পুরো ঘটনা ব্যাখ্যা করলে রাসূল সা: জানান, "তুমি যদি গর্তে হাত না ঢুকিয়ে দিতে, তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ প্রতিদিন একটা করে মোহর তোমাকে দান করতো" । উল্লেখিত প্রতিটা ঘটনা সাক্ষ্য দেয়, আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছে তা গোপন রাখো, গোপনে শুকরিয়া জানাও। যখনই লোকে জানাজানি হবে সেই নিয়ামত বাতিল হবে। এবং বদনজর অবশ্যই সত্য। রাতারাতি ধনী হওয়া বহু ফ্রিল্যান্সারকে আমি রাতারাতি আইডি হারিয়ে শূন্যে নেমে যেতে দেখেছি। তারা পরিশ্রমকে বিশ্বাস করতো, বদনজরের কথা শুনলে হেসে উড়িয়ে দিতো । তারা ফেসবুকে এসে "আলহামদুলিল্লাহ" পোস্ট করতো। "কি ব্যাপার, উনি আলহামদুলিল্লাহ বললো কেন? কি হইসে? কি পাইসে" - এসব প্রতিটা ভাবনা বদনজর। এবং আপনি নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনছেন। গত এক বছরে এত বেশি বাঁশ হজম করতে হয়েছে যে কারণে এই বদনজর প্ল্যাটফর্মে হাসি-তামাশা ছাড়া আর কোনকিছু বলি না। আপনার কোন অর্জন আমাদের জানিয়ের,বাড়তি কিছু অর্জন করতে পারবেন না, আপনি ধনী বা গরীব যাই হোন, তাতেও কারো কিছু যায় আসে না। তাহলে এত শো-অফ কেন? ➡️ লিখাটা কালেক্টেড
·47 مشاهدة ·0 معاينة